পূজায় যৌনপল্লীর মাটি না নেওয়ায় সোনাগাছিতে ক্ষোভ!
প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৫১
দুর্গাপূজার বেশি দিন বাকি নেই। আর সেই পূজায় অবশ্যই চাই যৌনপল্লীর মাটি। দুর্গাপূজার এমনটাই রীতি ছিল। কিন্তু ইদানীং কলকাতায় পূজা নিয়ে মাতামাতি হলেও রীতিনীতি মানার ক্ষেত্রে যে শৈথিল্য এসেছে।
প্রাচীন এই পাড়ার প্রবীণা বিমলাদেবী (নাম পরিবর্তিত) বলেন, ১০-১২ বছর আগেও পূজার আগে মাটি নিতে ভিড় জমাতেন পূজা-কর্তারা। এখন কলকাতায় এত পূজা, কিন্তু মাটি নিতে আসার ভিড় অনেক কমে গেছে। কলকাতার কিছু পুরনো বাড়ির পূজা আর কিছু পুরনো বারোয়ারি ঠিক নিয়ম করে আসে। এমনকি ঠাকুর তৈরি করার আগেও অনেকে নিয়ে যায় মাটি। প্রতিমায় ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু নতুনরা আর আসে না।’
দুর্গাপূজার আনন্দে কেউ যেন বাদ না পড়ে সেই লক্ষ্যেই হয়তো এই প্রাচীন রীতি। এখন অবশ্য সোনাগাছির নিজস্ব পূজা হয়ে গেছে। আদালতের হস্তক্ষেপে সেই পূজা নিয়ে বিবাদও মিটে গেছে। পূজায় মেতে ওঠার জন্য এখন আর অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না এই পাড়ার বাসিন্দাদের।
সোনাগাছির যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি কয়েক বছর আগে যখন দুর্গাপূজার উদ্যোগ নেন, তখন বাধা আসে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রধান কারণ দেখানো হয়েছিল ওই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় পূজা হলে যান চলাচলের অসুবিধা হবে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট-এর দ্বারস্থ হয়ে পূজার অনুমতি আদায় হয়।
বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘যৌনকর্মীদের পূজার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।’ যদিও বলা হয়ে থাকে, দশকর্মা ভাণ্ডারে বেশ্যদ্বার মৃত্তিকা বলে যে মাটি বিক্রি হয়, সেটা নাকি নদী বা পুকুর পাড়ের মাটি।
সূত্র: নতুন সময়