মুখ খোলা মানেই দেশদ্রোহিতা নয় : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৪৯ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৪:১৫
সরকারি নীতি অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়। এজন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশদ্রোহিতা নিয়ে সম্প্রতি ভারতজুড়ে ঝড় ওঠে। দেশদ্রোহিতা আইনে একের পর এক মামলাও হয়েছে।
এই আইন বাতিলের দাবিও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ নিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। তার মতে, ১৯৬২-র দেশদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। বহু পুলিশকর্মী তো দেশদ্রোহিতার অর্থও বোঝেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই ব্যাখ্যা নিঃসন্দেহে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের আজকের ব্যাখ্যার ফলে যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটবে দেশদ্রোহিতা নিয়ে। ১৯৬২ সালে কেদারনাথ সিংহ বনাম বিহার সরকার মামলায় দেশদ্রোহিতা আইনের ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রসঙ্গ তুলে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, দেশদ্রোহিতা নিয়ে সেই ব্যাখ্যা ৫৪ বছর পরে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তার জন্য নয়া ধারা যোগ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে সরকারি নীতি ও সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করার অধিকার। অবশ্যই এর জন্য কোনো রকম প্ররোচনা বা হিংসার আশ্রয় নিয়ে জনসম্পত্তির ক্ষতি করা বা শান্তি বিঘ্নিত করার অভিপ্রায় থাকবে না সেই নাগরিকের।
সূত্র : আনন্দবাজার