মন্দিরে নারীকে বলি, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটির এক মন্দিরে শান্তি শ (৬৪) নামের এক নারীকে বলিদানের ঘটনায় পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে ওই নারীকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল। বুধবার (৫ এপ্রিল) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৃতের আত্মাকে শান্ত করতে ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে বলিদান-কেই সমাধান হিসেবে বিশ্বাস করেছিলেন অভিযুক্তরা।

এর আগে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াহাটির ওই মন্দিরে ২০১৯ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন শান্তি শ নামের ওই নারী। পরে সেখানে অভিযুক্তরা ছুরি দিয়ে তার শিরচ্ছেদ করে। এমন মাথাবিহীন মৃতদেহ উদ্ধারের পর বিস্মিত হয়েছিলেন পুলিশের কর্মকর্তারা। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বারাহ বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনই ওই নারীকে হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত। তবে হত্যাকাণ্ডে মোট ১২ জন অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রধান সন্দেহভাজন ৫২ বছর বয়সী প্রদীপ পাঠক তার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ধর্মীয় আচারের অংশ হিসাবে ওই নারীকে বলিদানের পরিকল্পনা করেন। বলিদান মৃতের আত্মাকে শান্ত করবে বলে অভিযুক্তরা বিশ্বাস করেছিলেন।’

গ্রেপ্তারের পর গত ২৫ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত পাঠক ও অন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি সাত আসামিকে খুঁজছে পুলিশ।

গত জানুয়ারিতে পুলিশ ওই মন্দিরে শান্তির মৃতদেহ শনাক্ত করে। তার আগে পর্যন্ত পুলিশ এই মামলায় কোনও কূল-কিনারা করতে পারেনি। মৃতদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নতুন মোড় নেয়। পুলিশ কয়েকজন অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। তবে এখনও এই মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) দেশটিতে ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মানব বলির ১০৩টি মামলা দায়ের করেছে। সাধারণত দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য আচারিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তবে দেশটির উপজাতীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ধরনের মানব বলিদানের ঘটনা বেশি দেখা যায়; যেখানে জাদুবিদ্যার প্রতি মানুষের প্রবল বিশ্বাস রয়েছে।

জাগরণীয়া.কম/ডিআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত