সোনাগাছির দেহজীবীদের গল্পটা পরাজয়েই সীমাবদ্ধ!
প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২০
এশিয়ার সবথেকে বড় রেডলাইট এরিয়া রয়েছে ভারতের কলকাতায়। সেই জায়গায় নাম সোনাগাছি। এই এলাকাটা ঠিক যত না বড় তার থেকেও বড় এখানে বসবাসকারী নারীদের দুঃখের কাহিনী। এখানে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি দেহজীবী বাস করেন।
পৃথিবীর অনেক দেশেই দেহ ব্যবসা আইনত বৈধ, যদিও অনেক দেশেই একে বেআইনীও মনে করা হয়। তেমনই ভারতেও দেহব্যবসা অবৈধ, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেদেশে প্রকাশ্যেই এই বেআইনী কারবার বেশ রমরমিয়ে চলছে।
সোনাগাছির অলিগলিতে পথ শিশুর ভিড়, মেকআপে ব্যস্ত যুবতী থেকে অন্দরে অপেক্ষারত রমণী এই এলাকায় হামেশাই চোখে পড়ে। এখানে বিভিন্ন বহুতল বাড়িতে দেহব্যবসার আসর বসে। এখানে কেউ পেটের দায়ে শরীর বেঁচে আবার কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে। একবার কেউ এখানে ফেঁসে গেলে সহজে তার নিস্তার নেই।
কলকাতাকে আলো ঝলমলে আনন্দনগরী বলে মনে হলেও গোটা শহরের অন্ধকার জমে আছে সোনাগাছির অলিতে গলিতে। এখানে বসবাসকারী দেহজীবী নারীরা তাদের এই অভিশপ্ত জীবন মেনে নিলেও তারা নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। ছেলেমেয়েদের গায়ে যাতে এই অন্ধকারের ছায়া না পড়ে সেই চেষ্টাই করে চলেন এরা। সোনাগাছির দেহজীবীদের জীবন নিয়ে ‘বর্ন ইন ব্রথেলস’ নামে সিনেমা তৈরি হয়েছে। ‘বর্ন ইন ব্রথেলস’ সিনেমাটি অস্কার জিতেছিলো। কিন্তু এখানে বসবাসকারী দেহজীবীদের গল্পটা পরাজয়েই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে।
এখানকার জীবন দুর্ভাগ্য শব্দটিকেও হার মানায়। এখানে ১২ থেকে ১৭ বছরের নাবালিকারা অচেনা পুরুষের সঙ্গে রাত কাটাতে শেখে, তাদের মন জোগাতে শেখে। তার বদলে তারা পায় মাত্র ১২৪ টাকা। এই রেডলাইট এড়িয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ একটা সিণ্ডিকেটের হাতে। এমনকি সাংবাদিক বা ফটোগ্রাফারদেরও এলাকার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না।