ভারতে নির্ভয়ার চার ধর্ষক–হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ২০১২ সালে চলন্ত বাসে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০ মার্চ (শুক্রবার) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় দিল্লির তিহার জেলে আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। চার আসামি হলেন অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও মুকেশ সিং।

এর আগে ১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) মামলাটির আসামি মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় কুমার সিংহের সব আবেদন খারিজ করে দেন দিল্লির আদালত। এ হিসেবে নির্ধারিত সময় ২০ মার্চ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৫ টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনও আইনি বাধা থাকেনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইরফান আহমেদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, তাদের আর কোনও আইনি পথ বাকি নেই। পবন আর অক্ষয় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন, সেটিও নাকচ হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে তিন বার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা এলেও শেষ মুহূর্তে এসে তা বাতিল হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়াকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্ভয়া। এই ঘটনা সে সময় ‘নির্ভয়াকাণ্ড’ নামে পরিচিতি পায় এবং ভারতসহ সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। ভারতে ধর্ষণবিরোধী নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রাম সিং নামের এক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২০১৩ সালের মার্চে কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেন। ধর্ষণের সময় যে আসামির বয়স ১৭ বছর ছিল, তাকে ২০১৫ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। ভারতে ২০১৫ সালের পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হলো।