উড়িষ্যায় আঘাত ‘ফণী’র: নিহত ০৩, আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ লাখ মানুষ

প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৯, ১৫:৩৮ | আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ১৫:৫১

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানার কারণে এ পর্যন্ত ০৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর এনডিটিভি এর। 

এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে,  ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উড়িষ্যার প্রায় ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টি শহর পড়বে যার কারণে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে সরিয়ে নেয়া প্রায় ১১ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ০৩ মে (শুক্রবার) বিকেল ৩টার দিকে উড়িষ্যা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত হানার কথা থাকলেও সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে উড়িষ্যা রাজ্যের গোপালপুর ও পুরীতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এতে বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সব ধরণের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের নিচু এলাকা। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে প্লেন ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে শনিবার (০৪ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত প্লেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

১৯৯৯ সালের উড়িষ্যার পারাদ্বীপে সুপার সাইক্লোনের পর এই সাইক্লোন ফণীই সব থেকে বেশি শক্তিশালী ও মারাত্মক। উড়িষ্যায় ওই সাইক্লোনে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষের। গত ৪৩ বছরে ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলের দিকে এত বড় ঝড় আর ধেয়ে আসেনি। আগেই ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।