মৃত্যুর পরও দু’জনের ভালবাসা থাকলো অটূট!
প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৬, ০০:৩৮
‘মৃত্যুও আমাদের আলাদা করতে পারবেনা।’ সিনেমার পর্দায় এ ধরনের সংলাপ তো প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা ঘটলে বিষয়টা হয়ে ওঠে অত্যাশ্চর্জনক। এমনই দৃষ্টান্তের উদারহণ পেল মার্কিনীরা। ছয় দশক ধরে বিবাহিত জীবন কাটানো এক দম্পতির মৃত্যুও হল প্রায় একসাথেই, সেটাও প্রাকৃতিক নিয়মে!
দক্ষিণ ডাকোটার এক নার্সিং হোমে একই রুমে ভর্তি ছিলেন এক দম্পতি। দু’জনই ছিলেন ভিন্ন অসুস্থতায়। অদ্ভুতভাবেই একজন মারা যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেলেন অন্যজন।
৮৭ বছরের প্রৌঢ়া জিনেট ডি লাঞ্জ অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি মারা যান বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ। সকলকে অবাক করে এর ঠিক ২০ মিনিট পর মারা যান জিনেটের ৮৬ বছরের স্বামী হেনরি, যিনি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। প্রাক্তন সৈনিক হেনরি এবং পেশায় সঙ্গীতশিল্পী জিনেট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৫৩ সালে। সেই থেকে তাঁদের একসঙ্গে পথ চলা শুরু। তাঁদের পাঁচ সন্তান রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই নার্সিং হোমে ছিলেন জিনেট। প্রতিদিন গড়ে দু-তিনবার স্ত্রীকে দেখতে আসতেন হেনরি। কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ায় তাঁকেও একই নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। রাখাও হয় একই ঘরে।
একসঙ্গে মা ও বাবাকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিধ্বস্ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা। যদিও এক ছেলে জানিয়েছেন একসঙ্গে চলে যাওয়াটা ঐশ্বরিক ভালবাসার চূড়ান্ত নিদর্শন। তিনি আরও বলেন, সন্তান হিসেবে কখনোই এমন কিছু চাইবে না কেউই। কিন্তু এর চেয়ে সুন্দর আর কি-ই বা হতে পারে।
আরেক ছেলে জানিয়েছেন, পাশের বেডে থাকা মৃত স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই মারা যান তাঁদের বাবা।
কে বলে, মৃত্যুতে ভালবাসা শেষ হয়ে যায়! জিনেট-হেনরী প্রমাণ করলেন, শুধু জীবন নয়, মৃত্যুর পরও ভালবাসা অটূট থাকে।
সূত্র: এবিপি আনন্দ