ক্রাইস্টচার্চ হামলা: নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত
প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৯
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় মোট ১০ জন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন দুইজন। নিহত দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও আহত ও নিখোঁজদের পরিচয় পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান জানান, "শুক্রবার অনেক বাংলাদেশিই জুমার নামাজ পড়তে আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে হাসপাতালে দশজনের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন"।
শফিকুর রহমান বলেন, "নিহতদের মধ্যে ড. আবদুস সামাদ নামে ষাটোর্ধ্ব একজন বাংলাদেশি কৃষিবিদ রয়েছেন, যিনি লিংকন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। নিহত আরেকজনের নাম হোসনা। তার স্বামীর নাম ফরিদ। তিনি একজন হাউজ ওয়াইফ"।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীদের হামলায় এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন।
রাজ্যের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ জানান, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে এই হামলার সূত্রপাত। দুই মসজিদে হামলায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। যার মধ্যে একজন অস্ট্রলিয়ান বংশদ্ভুত। হামলায় জড়ি সন্দেহে আটক এক ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী ‘একজন চরম ডানপন্থি নৃশংস সন্ত্রাসী’।
হামলার পর পরই ক্রাইস্টচার্চ কর্তৃপক্ষ নগরীর সব মসজিদ পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নগরীর সব স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে স্থানীয়দের নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন ক্রাইস্টচার্চ আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে রওয়ানা হয়েছিলেন। বন্দুক হামলার সময় তাদের গাড়িটি মসজিদের ৫০ গজের মধ্যেই ছিল। হামলার খবর পেয়ে তারা দ্রুত সরে যান। আরও ৩/৪ মিনিট আগে গেলেই মসজিদের ভেতরেই তারা থাকতেন বলে জানিয়েছেন ম্যানেজার খালেদ মাসুদ। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট খেলতে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। হামলার পর ওই ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।