নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন আইএসে যোগ দেয়া শামীমা
প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১১
ব্রিটেনের নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা বেগম।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেন এবং এখানে বসবাসকারী লোকজনের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্দিষ্ট কারো বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই যে কারো নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি হালকাভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই।
ব্রিটেনের হোয়াইট হলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী শামিমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। তবে ১৮ বছর পার হওয়ায় অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন শামিমা।
এ প্রসঙ্গে শামিমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে জানিয়েছেন, তারা ব্রিটেনের এমন পদক্ষেপে হতাশ। এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শামিমার সন্তানের নাগরিকত্বের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী জেরেমি রাইট বলেছেন, শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্বের বিষয়টি সহজ নয়। তাকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা বেগম। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই শামিমা বেগমের। তিনি কখনও বাংলাদেশেও আসেননি। সেখানে শামিমা নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
গত সপ্তাহে শামিমা বেগমকে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে খুঁজে পাওয়া যায়। আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি বাঘুজ থেকে পালিয়ে তিনি ওই শিবিরে আশ্রয় নেন। সেখানেই তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
শামীমা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আইএস এ যোগ দেয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন শামীমা। তবে তিনি তার সন্তানের নাগরিকত্বের জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাচ্ছেন।
এদিকে, শামিমা বেগম আইএসে যোগ দেয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।