‘নতুন একজন সাহসী কানাডীয়’
প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫২
পরিবারের গোঁড়ামি ও রক্ষণশীলতা থেকে বাঁচতে দেশ থেকে পালানো সেই সৌদি তরুণী রাহাফ আল-কুন অবশেষে কানাডায় পৌঁছেছেন।
১৩ জানুয়ারি (রবিবার) কানাডায় পৌঁছানোর পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড গণমাধ্যমের কাছে রাহাফকে পরিচয় করিয়ে দেন। সেসময় তিনি রাহাফকে ‘নতুন একজন সাহসী কানাডীয়’হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর বিবিসি এর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রাহাফ দীর্ঘ যাত্রার কারণে ক্লান্ত। এ মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাইছেন না।
এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার অনুরোধে রাহাফকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা। তিনি বলেন, তার দেশ সব সময় মানবাধিকার ও নারীর অধিকারের পক্ষে দাঁড়ায়।
কানাডা তাকে আশ্রয় দেওয়ার পর স্থানীয় সময় গত ১২ জানুয়ারি (শনিবার) সেখানে তিনি পৌঁছান। এ সময় কানাডীয় কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, পরিবারের বিরুদ্ধে অতি শাসনের অভিযোগ এনে বাড়ি থেকে পালিয়ে ব্যাংককে বিমানবন্দরে আটকে পড়েন ১৮ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রাহাফ। তার পরিবারের সদস্যরা কুয়েতে ছিলেন। তিনি কুয়েত থেকে ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে থাইল্যান্ডে আটকে পড়েন। তাকে কুয়েতে ফেরত পাঠানোর জন্য বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থিত হোটেলে রাখলে সেখানে তিনি নিজেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
কুয়েতে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে রাহাফ বলেন, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। পরিবারে ফিরলে তাকে মেরে ফেলা হবে। তিনি টুইটারে এ নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিলে তা আন্তর্জাতিক মহলের নজরে পড়ে।