ভারতে দেহরক্ষীর গুলিতে বিচারকের স্ত্রীর মৃত্যু
প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:০০
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দেহরক্ষীর গুলিতে গুরুতর আহত ভারতীয় এক বিচারপতির স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত বিচারপতির ১৮ বছর বয়সী ছেলে ধ্রুবর অবস্থা সঙ্কটজনক। খবর এনডিটিভি এর।
খবরে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর (শনিবার) দিল্লির লাগোয়া গুরগাঁওয়ের একটি ব্যস্ত বাজার এলাকায় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কৃষাণ কান্ত শর্মার স্ত্রী রিতু শর্মা (৩৮) ও ছেলে ধ্রুব (১৮) কে গুলি করেছিল তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মহিপাল সিং।
বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনেই এ ঘটনা ঘটায় দেহরক্ষী। গুলি করার পরপরই ধ্রুবকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বন্দুকধারী। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে পথের মধ্যে ফেলে রেখেই চলে যায় ঐ দেহরক্ষী। গাড়ি করে যাওয়ার সময় ঐ দেহরক্ষীই বিচারককে ফোন করে তার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করার কথা জানান। আরও দুটি কল করে অন্যান্য লোকজনকেও খবর দেন মহিপাল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে নিজেদের মোবাইল ফোনে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেছেন।
ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে মহিপাল একটি থানায় উপস্থিত হয়ে ফের গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে তাকে গুরুগাঁও-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহিপাল সিং স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষক। তাদের সাত ও তিন বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। মহিপাল সিং গত দুই বছর ধরে ঐ বিচারপতির পরিবারে দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিপাল জানিয়েছে, বিচারপতির পরিবারের ‘দুর্ব্যবহারের’ কারণে অত্যন্ত বিষন্ন ও মর্মাহত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।