নারীদের জন্য উন্মুক্ত হলো কেরালার মন্দির
প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৪
ভারতের কেরালার শবরীমালা মন্দিরের দরজা এবার সব বয়সী নারীদের জন্য উন্মুক্ত করা্র পক্ষে রায় দিলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ৫৩ বছরের পুরনো প্রথাকে বাতিল করে ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেয়।
রায়ে বলা হয়, সব বয়সের নারীদেরই প্রবেশাধিকার দিতে হবে শবরীমালা মন্দিরে। মন্দির কর্তৃপক্ষ আর কাউকেই মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিতে পারবে না। ধর্মাচরণে সবার সমান অধিকার রয়েছে। সব মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে সবার সমান অধিকার রয়েছে। ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য চলে না।
কেরালায় পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ওপরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শবরীমালা মন্দির।মন্দিরের আরাধ্য দেবতা আয়াপ্পা স্বামী। চারদিকে ১৬টি পাহাড় বেষ্টিত গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শবরীমালা মন্দিরে। প্রতিবছর বহু পুরুষ ভক্ত ও পর্যটক এই মন্দিরে যান। ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতি নারীদের মন্দিরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৫৩ বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। এমনকি, মন্দিরে ঢুকতে গেলে নারীদের বয়সের প্রমাণপত্র পর্যন্ত দেখাতে হয় মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
এই রীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিকবার মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলা একত্রিত করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, বিচারপতি এ এম খানউইলকার এবং বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র।
গত ১ আগস্ট এ মামলার শুনানি শেষ হয় এবং ২৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিকে,এ রায়ে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ রায়ের কারণে দেশের অন্যান্য মন্দিরে যেখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সেই সব মন্দিরেও প্রবেশাধিকার মিলবে বলেই আশা করছেন আইনজীবীরা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা