মিয়ানমার সামরিক ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:৫৪
রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর দমন-পীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের চার সামরিক ও পুলিশ কমান্ডারসহ দুটো সামরিক ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৭ আগস্ট (শুক্রবার) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গা নিপীড়নের জবাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এটিই এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কেউ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। তাছাড়া, রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কিংবা গণহত্যাও আখ্যা দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারে এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এবারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ করেছে- মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার অং কায়াও জ, খিন মাউং সোয়ে, খিন হায়িং এবং সীমান্ত পুলিশ কমান্ডার থুরা সান লিউইন কে। তাদের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে পদাতিক বাহিনীর ৩৩ এবং ৯৯ তম ডিভিশন।
গত জুনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে মিয়ানমারের পদাতিক বাহিনীর এ দুই ডিভিশনের ভূমিকার পুরো চিত্রই তুলে ধরে। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখেও চুপ করে থাকতে পারে না। যা ঘটেছে সেজন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকেই দায়ী করেন তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গতবছর রোহিঙ্গদের ওপর নতুন করে অভিযান শুরুর পর অগাস্ট থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা জানায়, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মেরেছে।
এরপর অক্টোবরেই এর জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।