টেক্সাসে স্কুলে হামলা: ঈদ করা হলো না সাবিকার

প্রকাশ : ২২ মে ২০১৮, ২২:১২

জাগরণীয়া ডেস্ক

স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ হিসেবে স্বপ্নের আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন পাকিস্তানের মেধাবী শিক্ষার্থী সাবিকা। ঈদ করার জন্য আগামি ৯ জুন তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বন্দুকধারীদের হামলায় সব শেষ।

টেক্সাসের সান্টা ফে হাইস্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় মৃত্যুমিছিলে রয়েছে পাকিস্তানের এই কিশোরীর নামও। এখনো পাকিস্তানে পৌঁছেনি ​ তার কফিন। মেয়ের শোকে হতবিহ্বল বাবা আজিজ শেখ আশা বলেন, সারা বিশ্ব এখন অস্থির, দেশে থাকলেও সাবিকার সাথে এ ধরণের অঘটন ঘটতে পারতো। তবুও আমি আশা রাখি, সাবিকার মৃত্যু হয়তো আমেরিকার অস্ত্র আইন বদলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে।

তিনি জানান, সাবিকা মনে করত, পাকিস্তানে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে সে দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে সর্বত্র। সেই ধারণাকেই বদলে দিতে বদ্ধপরিকর ছিল সাবিকা। তা আর হয়ে উঠল না। তার ইচ্ছে ছিল ভবিষ্যতে পাকিস্তানে এসে কূটনীতিক বা প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। কিন্তু তার সে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো।

এদিকে, হিউস্টনে সাবিকার শোকসভায় জমায়েত হয়েছিল প্রচুর মানুষ। শোকসভায় মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো বলেন, আমি জানি না সাবিকা কী চেয়েছিল। তবে অবশ্যই সে তার দেশকে বিশ্বের সামনে উঁচু করতে চেয়েছিল। তার জন্য সমবেদনা।

সাবিকার মতো নিহতদের তালিকায় রয়েছে সান্টা ফে হাইস্কুলের শিক্ষিকা সিন্থিয়া টিসডেলও। পরিবারের চিকিৎসার খরচ চালাতে একসঙ্গে দু’টি চাকরি করতেন তিনি। তবে নিছক পেশা নয়। শিক্ষকতা ছিল তার কাছে ভালবাসারও। সে ভালোবাসার জন্যই বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারালেন সিন্থিয়া।

সূত্র: আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত