জাতিসংঘের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০১৮, ১৯:৫৮ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮, ২০:০১
জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তারই সহকর্মী। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে প্রথমবারের মত এ অভিযোগটি নিয়ে মুখ খোলেন ঐ নারী। খবর সিএনএন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে একটি কনফারেন্সে থাকাকালীন সময়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তা মার্টিনা ব্রসট্রোমকে অন্যায়ভাবে লিফটে আটকিয়ে যৌন নিগ্রহ করে একই প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা লুইস লরেস। ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ ১৪ মাসের তদন্তে মার্টিনার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি কর্তৃপক্ষ। এদিকে, তদন্তকে নিছক এটি আইওয়াস বলে উল্লেখ করেন মার্টিনা। অপরদিকে, অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে লুইস জানান, আমার বিরুদ্ধে তদন্তে কিছুই পাওয়া যায়নি। যদি তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন এবং মার্টিন চাইলে আপিল করতে পারেন।
সম্প্রতি অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য মার্টিনাকে চাপ দেয়া হয় এবং একই সাথে পদন্নোতির প্রলোভন দেখানো হয়। আর এরপরই গণমাধ্যমে মুখ খুলেন ঐ নারী। লুইসকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন আরও দুই নারী।
মালায়া হারপার এক নারী ২০১৪ সালে এমনই এক কনফারেন্সে লুইসের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক নারী লুইসের দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ইউনিএইডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুইস লেরিস চলতি সপ্তাহের শেষেই তার চুক্তি শেষ করে জাতিসংঘ থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এটাই লুইসের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে ইউনিএইডের প্রধান মাইকেল সিবেক বলেন, যারা গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন, তাদের সততা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। তিনি লুইসের সিদ্ধান্তকে একটি সাহসী ও সম্মানজনক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইউনিএইডের প্রধান মাইকেল সিবেককে লুইসের কর্মকাণ্ড নিয়ে সচেতন করা হয়েছিল বলে সিবেকের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। যদিও সিবেক বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।