‘রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে যুদ্ধের বিকল্প নেই’
প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:৪৭
এবার কড়া সতর্কতা দিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। তারা বলেছে, রাষ্ট্রীয় মদতে চালানো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে লড়াইয়ের আর কোনো বিকল্প নেই।
৭ জানুয়ারি (রবিবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশিত এক টুইটে এ কথা জানানো হয়। এর আগে ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থিরা। এতে ৬ সেনা সদস্য আহত হন। হামলার দায় স্বীকার করেছে আরসা।
টুইটারে আরসার নেতা আতা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বলা হয়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা, পুনর্বাসন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘বার্মার রাষ্ট্রীয়-সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবেলা করার কোনো বিকল্প নেই। মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে এমন সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করা হবে।
তবে শুক্রবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর হামলার দায় নিলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের এ সংগঠন। মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, দুই দেশের সরকার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করলেও তা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা।
আগস্টের অভিযানের পর রোহিঙ্গাদের ছোট এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী কোনো ধরনের হামলা চালায়নি। তবে গত ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাখাইনের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। প্রথমে স্থল মাইন বিস্ফোরণের পর সেনাবাহিনীর ট্রাক লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয় বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টির বেশি তল্লাশি চৌকিতে একযোগে হামলা চালায়। এর জেরে রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে বিদ্রোহীবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানে ব্যাপক সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে জাতিগত নিধনের চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।