ব্রিটিশ রাজবধূ হওয়ার জন্য যা ছাড়ছেন মেগান
প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৪৪
অভিনয় শিল্পী মেগান মার্কেল যুক্তরাষ্ট্রে খুব সাধারণ ঘরের এক মেয়ে। তার মা পেশায় একজন সাইকোথেরাপিস্ট ও যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক, বাবা অ্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী আলোক নির্দেশক। কয়েকদিন আগেও মেগান একজন অভিনেত্রী ছিলেন। কিন্তু রাজবধূ হওয়ায় তাকে অভিনয় এর সাথে সাথে মডেলিংও ছাড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজপ্রাসাদে রাজকীয় জীবন যাপন করার জন্য আগের জীবনের অনেক কিছুই ছাড়তে হচ্ছে ‘স্যুটস’ সিরিজের ৩৬ বয়সী এই তারকাকে।
জানা যায়, গত বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকা এই জুটির বাগদান সম্পন্ন হয় এ মাসের শুরুতে। এক বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি জানান বাগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। শুধুমাত্র রানি এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা লন্ডনে সম্পন্ন হওয়া বাগদানের বিষয়ে আগে থেকে জানতেন। তবে রাজপুত্রকে বিয়ে করতে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় হারাতে হচ্ছে হবু রাজবধূকে। যেমন..
২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ের পর হ্যারি ও মেগান রাজপ্রাসাদের ভেতর নটিংহাম প্যালেসে সংসার পাতবেন। এতে করে কানাডার টরন্টোতে এত দিন মেগান যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, তা ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে তাকে রেখে আসতে হবে প্রিয় কুকুর বোগার্ডকে। অনেক দিন ধরেই মেগানের সঙ্গে আছে কুকুরটি। কিন্তু রাজপ্রাসাদ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বয়স বেশি হওয়ায় বোগার্ডকে প্লেনে করে যুক্তরাজ্যে আনা যাবে না। মেগানকে ছাড়তে হবে তার দাতব্য কাজও। তিনি ছোটবেলা থেকেই নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। জাতিসংঘের কিছু দাতব্য প্রকল্পের সঙ্গেও জড়িত মেগান মার্কেল। তাকে এখন সেসব ছাড়তে হবে। এ ছাড়া হ্যারির বাগদত্তা কিছু সামাজিক প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। ব্রিটেনের রাজবংশের শর্ত মেনে এসব ত্যাগ করতে হচ্ছে মেগানকে। এরপরও ভালোবাসার জন্য মেগান নিজের পেশা, পোষা প্রাণী সব ছাড়তে প্রস্তুত।
কিন্তু এত ত্যাগ স্বীকারের পরও ‘প্রিন্সেস’ উপাধি পাচ্ছেন না মেগান মার্কেল। কারণ ইতিহাস বলে, তার বংশে কারও ‘রাজরক্ত’ নেই। ব্রিটেনের রাজকীয় প্রটোকল অনুযায়ী তাই মেগান কখনো হতে পারবেন না ‘প্রিন্সেস মেগান’।
সূত্র: ডেইলি মেইল