যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৭
যৌন নিপীড়নের অভিযোগের জের ধরে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। যুক্তরাজ্যের কয়েক ডজন এমপির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নমূলক আচরণের অভিযোগ নিয়ে চলমান ডামাডোলের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ফ্যালন।
তিনি বলেছেন, তার ব্যক্তিগত আচরণের কারণে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি স্বীকার করেছেন যে ১৫ বছর আগে তিনি সাংবাদিক ও রেডিও উপস্থাপিকা জুলিয়া হার্টলি-ব্রুয়ারকে অশোভনভাবে স্পর্শ করেছিলেন।
২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্যালন এমন এক সময়ে পদত্যাগ করলেন যখন ব্রিটেনের বেশ কিছু সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ফ্যালন বলেছেন, তার আচরণ যে মানের হওয়ার কথা, সেটি হয়তো সে মানের ছিল না। ১৫ কিংবা ১০ বছর আগে যেটি গ্রহণযোগ্য ছিল, বর্তমানে সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। ১৫ বছর আগের সেই আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বেশ কয়েকজন এমপি’র বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা পর প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে পদত্যাগ করলেন ফ্যালন। বিষয়টি নিয়ে এখনও ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে ফ্যালন বলেন, ‘অতীতে আমার কিছু আচরণসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন এমপি'র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের অনেকগুলোই মিথ্যা। কিন্তু আমি স্বীকার করছি যে অতীতে আমার আচরণ সর্বোচ্চ মানের তুলনায় ঘাটতি ছিল।’
বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে ফ্যালন বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এখন সবাই অতীতের দিকে ফিরে তাকিয়েছি। সেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জন্য আপনার অনুতাপ হতে পারে, যেটা ভিন্নভাবে করা যেত।’
গত সাড়ে তিন বছর ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টিকে সম্মানের ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। ফ্যালন বলেছেন, ব্রিটেনের সামরিক বাহিনী যে মানের আচরণ আশা করে তার আচরণ সে রকম ছিলনা।
পার্লামেন্ট বা দলীয় কর্মীদের প্রতি যৌন হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইতিমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেটিকে স্বাগত জানান ফ্যালন। সব দলের সম্মতিতে আপত্তিকর আচরণ বন্ধে একটি স্বাধীন সংস্থা গড়ে তোলার কথা বলেছেন মে।