রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের আরও সাড়ে ২১ কোটি টাকা
প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৪৯
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ২০ লাখ পাউন্ড (২৬ লাখ ৬২ হাজার ১৩০ ডলার বা ২১ কোটি ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬০ টাকা প্রায়) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তারা ৯০ লাখ পাউন্ড দিচ্ছে।
দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল এ ঘোষণার কথা জানান।
গত সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা কল্যাণে অর্থ চেয়ে যুক্তরাজ্যের ডিজাস্টার ইমারজেন্সি কমিটি (ডিইসি) নিবেদন জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রীতি প্যাটেল জানান, ওই আবেদনের অংশ হিসেবে সংগৃহীত অর্থের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয় ২০ লাখ পাউন্ড যোগ করবে।
১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা আশ্রয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এর আগে একই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য আরও ৩০ লাখ পাউন্ড দিয়েছিল। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য যুক্তরাজ্য ৯০ লাখ পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করেছে।
প্রীতি প্যাটেল বলেন, সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারের কাছে বার্তা খুবই পরিষ্কার।
দমনপীড়ন চলছে বলেই লোকজন জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসছেন বলেও মত দেন তিনি। তারা ‘জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রীতি।
এদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে নিজ দেশে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে আসা নিজ দলের সংসদ সদস্য উইল কুইন্সের গত বুধবার হাউস অব কমন্সে রোহিঙ্গা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটেনের অবস্থান জানাতে গিয়ে এ আহ্বান জানান মে। তিনি এও বলেন, অন্তত তিনবার এই কথা বলেছি, তবে কোনো কাজ হয়নি। মিয়ানমার সহিংসতা চালাচ্ছেই।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে সহিংসতার জেরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। দিন দিন রোহিঙ্গা স্রোত কোনো মতেই থামছে না। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের।