হানিপ্রীত গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৪ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৬

অনলাইন ডেস্ক

ডেরা সাচা সৌদা প্রধান জেলবন্দি গুরমিত রাম রহিমের দত্তক কন্যা হানিপ্রীতকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাঁচকুল্লার পুলিস কমিশনার এ এস চাওলা।

হানিপ্রীতকে আরও এক নারীর সঙ্গে পঞ্জাবের জিরাখপুর-পাতিয়ালা রোডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হরিয়ানা পুলিশের ডিজিপি বি এস সান্ধু। ৪ আক্টোবর (বুধবার) তাকে আদালতে তোলা হবে।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, সম্ভবত ৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন হানিপ্রীত। ১ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন, ধর্ষণকাণ্ডে রাম রহিমকে আদালত ২০ বছর জেলে কাটানোর সাজা দেওয়ার পরদিন থেকেই।

রাম রহিমের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় ঘোষণার পর হরিয়ানায় ব্যাপক অশান্তি, হিংসার পিছনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে যে ৪৩ জনকে ওয়ান্টেড হিসাবে খুঁজছিল পুলিশ, তাদের তালিকার একেবারে ওপরে ছিল হানিপ্রীতের নাম। বহু মানুষ সেদিন হিংসায় হতাহত হন।

চাওলা বলেন, সিট ইনচার্জ মুকেশ কুমার হানিপ্রীতকে হেফাজতে নিয়েছেন। তাকে হিংসার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচকুল্লায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ২৫ আগস্ট রাম রহিম ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অশান্তি বাঁধানোর পিছনে তার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের হাত এড়িয়ে পালিয়ে বেড়ানোর সময় কারা হানিপ্রীতকে আশ্রয়, মদত দিয়েছিল, তাও জানার চেষ্টা হবে। কাল আদালতে তুলে হানিপ্রীতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।

গত সপ্তাহে তার ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

হানিপ্রীতের সঙ্গে ধরা পড়া নারীকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারির ব্যাপারে পঞ্জাব পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

শোনা যাচ্ছিল, হানিপ্রীত ওরফে প্রিয়ঙ্কা তানেজা নেপাল পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি। উল্টে দাবি করেছেন, এ দেশেই রয়েছেন।

পাপা কি পরী নামে পরিচিত হানিপ্রীতের আরও দাবি, তিনি নির্দোষ। সত্যিটা একসময় প্রকাশিত হবেই। কী করে সকলে তাদের সঙ্গে এমন করতে পারল ভেবে যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন বলে হানিপ্রীতের দাবি। নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।