উত্তর কোরিয়ার উপকূলের কাছে মার্কিন বোমারু বিমান
প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৪১
উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় মার্কিন বোমারু বিমান বি-১বি উড়ে গেছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, যে কোনো প্রকার হুমকিকে পরাজিত করার সামরিক শক্তি যে যুক্তরাষ্ট্রের আছে তার একটা প্রদর্শনী দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। একুশ শতকে সুদূর উত্তরে মার্কিন ফাইটার বা বোমারু বিমান পৌঁছানোর ঘটনা এটিই প্রথম।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা উত্তেজনা অবশেষে বোমারু বিমান ও জেট ফাইটারের মতন যুদ্ধাস্ত্রের দিকে মোড় নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে মার্কিন বোমারু বিমানকে জেট ফাইটারের প্রহরায় নিয়ে যাবার পর দুই দেশের মধ্যে এখন বিরাজ করছে ভীষণ এক দম বন্ধ পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া আচরণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে তা বোঝানোই এই শক্তি প্রদর্শনীর একটা উদ্দেশ্য।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইউং হো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'উন্মাদ' বলে উল্লেখ করেন এবং পরমাণু অস্ত্র বানানোর অধিকার যে তাদের আছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন।
রি ইউং হো বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত লোক। ট্রাম্প নিজেই একটা আত্মঘাতী মিশনে নেমেছেন। এই আত্মঘাতী হামলার কারণে মার্কিন বেসামরিক নাগরিকের যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে দায়ী থাকবে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা, দুরূহ শ্রম, সাধনা ও সংগ্রামের পর উত্তর কোরিয়া অবশেষে পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে, তাদের উপরে যত কঠিন অবরোধই দেয়া হোক না কেন এখন আর তারা যে সরে আসবে না।
উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রীর এইসব কথার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় সামরিক শক্তির ব্যাবহারের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রয়েছে।
এই বাস্তবতায়, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজিত কথাবার্তা বিনিময়ের পর বোমারু বিমান পাঠানোর এই ঘটনায় উত্তেজনা এখন নিয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা।