আফ্রিকায় ‘পালাচ্ছেন’ নারী বিদ্বেষী জাকির নায়েক!
প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৬, ১৪:২৬
‘গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে’ ভারতে ফিরতে চাইছেন না তরুণদের জঙ্গিবাদে ‘উৎসাহিত করার’ অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা বিতর্কিত ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক। ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিতে অবস্থানরত জাকির আপাতত সৌদিতেই কাটাবেন বলে জানালেও হঠাৎ তিনি আফ্রিকা চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশে আগে থেকেই কর্মসূচি ঠিক করে রাখা আছে এমনটি তিনি জানালেও তার আফ্রিকা যাত্রাকে অনেকটা ‘পলায়ন’ বলেই দেখছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায়ের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তা ভাবছেন, বিতর্কিত এই ধর্ম প্রচারক আফ্রিকায় কাজ সেরে আদৌ ভারতে ফিরবেন কিনা!
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক খবরে এ কথা জানানো হয়।
তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রবাসে থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি পাঠিয়ে জাকির নায়েক বলছেন- তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এ পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠার পর ভারত সরকার জাকির নায়েকের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এ সংবাদ প্রকাশের পর দেশে ফিরে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সোমবার মুম্বাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা বলেছিলেন তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক স্কাইপে কনফারেন্স করবেন বলে জানান তিনি। তবে সেটিও তিনি বাতিল করেন বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, গত বছর উষ্কানিমূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুও তার বিষয়ে তদন্তের কথা একদিন আগেই বলেন।
এরপর গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দুইজন, রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এছাড়া ভারতে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিরাও জাকির নায়েককে অনুসরণ করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পাটনার গান্ধী ময়দান ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে আটক জঙ্গিদের কাছ থেকেও জাকিরের বক্তৃতার সিডি ও বই উদ্ধারের দাবি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর দাবি ওঠে। সেখানেও বন্ধ করে দেওয়া হয় পিস টিভির সম্প্রচার। মুম্বাইয়ে তার অফিসের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জাকিরের বিভিন্ন বয়ানের অডিও-ভিডিও ক্লিপিংস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার গতিবিধি খতিয়ে দেখতে ভারত সরকার ৯টি তদন্ত দল গঠন করে। অন্যদিকে বাংলাদেশেও তার পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করেছে পিস টিভির অন এয়ার বন্ধের সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ সরকার।