সু চির কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি
প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৪০
রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় কানাডায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে। রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিকরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে এ দাবি তুলে ধরছেন।
ইন্টারনেটে এ বিষয়ে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চলছে, যেখানে পাঁচ দিনে প্রায় নয় হাজার মানুষ সই করেছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) টরন্টোতে কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত এমন এক সমাবেশে অংশ নেন খোদ কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
রাখাইনে চলমান সেনা অভিযান সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, মিয়ানমার সরকারের অভিযান মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। কানাডার সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড মিয়ানমারের নেত্রী সু চিকে ২০১২ সালে কানাডার সন্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। কানাডার ১৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র ছয়জনকে সন্মানসূচক এ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছয়জনের মধ্যে সু চিসহ চারজন আবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
কানাডার আইনে সাধারণ নাগরিক ও সন্মানসূচক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য উল্লেখ করা হয়নি।
অন্যদিকে দেশটির প্রচলিত আইনে কোনো নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা কানাডা বা কানাডার বাইরে সরাসরি বা অন্য কোনো উপায়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধে জড়িত হলে, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে ইন্ধন যোগালে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) টরন্টোতে এক মানববন্ধন থেকে মিয়ানমারে গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কানাডা শাখা। ‘সু চির কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল কর’, ‘রোহিঙ্গাদের বাঁচাও, বিশ্ব বিবেক জাগাও’, ‘মিয়ানমারে শিশু হত্যা বন্ধ কর- করতে হবে’, ‘মানবতাকে বাঁচাও, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে পুনর্বাসন কর’, ‘মানবিক সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান’- ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে।
টরন্টোর সমাবেশে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড জানান, রোহিঙ্কা সঙ্কটের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিবের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে বলেও জানান তিনি।