সব রোহিঙ্গা ফিরতে পারবে না : মিয়ানমার
প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০৫
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৪টি পুলিশ পোস্টে ‘বিছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গাদের’ হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫ পুলিশ সদস্য ও ৭ জন বিছিন্নতাবাদী ছিল। এ হামলার জন্য স্থানীয় আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মিকে (এআরএসএ-আরসা) দায়ী করে মিয়ানমারের সরকার। এরপরেই মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংসতার পর রাখাইন রাজ্যের ১৭৬টি রোহিঙ্গা মুসলিম গ্রাম এখন জনমানবশূন্য বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। এই সব রোহিঙ্গা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জ হাতয়ের বরাত দিয়ে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, রাখাইনের তিনটি শহরতলিতে মোট ৪৭১টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬টি গ্রামে কোনো মানুষ নেই। আশপাশের ৩৪টি গ্রাম থেকেও লোকজন পালিয়ে চলে যাচ্ছে। তারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অবশ্য ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি।
জ হাতয় আরো বলেন, যারা পালিয়ে গেছে, তাদের সবাইকে ফিরতে দেওয়া হবে না। তাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের দেশে ফিরতে দেওয়া হবে।
মিয়ানমার সরকারের দাবি, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী জনগোষ্ঠী দুই ডজনের বেশি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এর পরই হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।
পালিয়ে আসা বস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুরুষদের ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে আর মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
মুসলিম রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, এরই মধ্যে এই সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।