গৃহকর্মী নিয়োগে সৌদি আরবে নতুন শর্ত
প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২১
গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন, বেতন না দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বিদেশি গৃহকর্মী নিয়োগে সৌদি আরব সরকার নতুন শর্ত আরোপ করেছে।
সৌদি গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৩ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন, যার মধ্যে ৬০ হাজার নারী কাজ করছেন গৃহকর্মী হিসেবে। এ হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। কিন্তু সম্প্রতি হাতে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বাংলাদেশি এক নারীর রিয়াদ বিমানবন্দরে এক আরবকে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিষয়টি।
এরই প্রেক্ষিতে দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরব নিউজ জানিয়েছে, কোনো বিবাহিত সৌদি নাগরিক গৃহকর্মী বা গাড়ি চালক নিয়োগ দিতে চাইলে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৩৫ হাজার সৌদি রিয়াল থাকতে হবে।
সৌদির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বলছে, বিবাহিত সৌদি নাগরিক একজন পুরুষ গৃহকর্মীসহ মোট তিনজন বিদেশি কর্মীর জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষ গৃহকর্মী, ব্যক্তিগত গাড়িচালক, শিশু পরিচর্যাকারী, পুরুষ ও নারী রাঁধুনি এবং পুরুষ ও নারী সেবিকা। প্রতি একজন গৃহকর্মীর জন্য ভিসা পেতে ব্যাংকে ৩৫ হাজার রিয়াল দেখানোর পাশাপাশি মাসে অন্তত পাঁচ হাজার রিয়াল খরচের সক্ষমতা থাকতে হবে গৃহকর্তার।
আর দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে বসবাস করা অন্য কোনো দেশের নাগরিক গৃহকর্মী বা গাড়ি চালক নিয়োগ দিলে তার মাসিক বেতন হতে হবে অন্তত ১০ হাজার রিয়াল। সৌদি আরবে ১০ হাজার রিয়ালের বেশি বেতনে চাকরি করা নারী বা পুরুষ বিদেশি নাগরিকরা সর্বোচ্চ দুইজন গৃহকর্মীর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবে গৃহকর্মী বিশেষ করে নারী গৃহকর্মীদের কাজ করিয়ে বেতন না দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া গৃহকর্মীদের পাসপোর্ট রেখে দিয়ে দিনের পর দিন বেতন ছাড়া কাজ করিয়ে নেওয়া হয় বলে বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গৃহকর্মী অভিযোগ করেছেন।