ধর্ষণের ভুয়া অভিযোগ, ব্রিটিশ নারীর ১০ বছরের জেল
প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১৭
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত ভুয়া হওয়ায় জেমা বিল নামক ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রিটেনের একটি আদালত। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পশ্চিম লন্ডনের এই নারী ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি মিথ্যা ধর্ষণ ও যৌন হামলা সম্পর্কিত অভিযোগ করেন। চারটি ভিন্ন ঘটনায় অপরিচিত ১৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনেন তিনি। এর মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এবং যৌন হামলার অভিযোগ আনেন ছয়জনের বিরুদ্ধে।
জেমার এমন এক অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ডও ভোগ করেছেন এক ব্যক্তি। তবে গত জুলাইয়ে এসবের পেছনে তাঁর মিথ্যা তথ্য দেওয়া ফাঁস হয়ে যায়। আদালতের ন্যায়বিচার বিপর্যস্ত করা এবং মিথ্যা অভিযোগের দায়ে ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারক নিকোলাস লরেইন-স্মিথ বলেন, ‘আপনি একজন চরম মিথ্যাবাদী। এই বিচারে তা প্রকাশিত হয়েছে, যা তখন নিশ্চিত ছিল না। আর আপনি নিজেকে নির্যাতিত হিসেবে দেখতে উপভোগ করেন।
এই প্রসিকিউশন আপনার জীবনকে মিথ্যা ‘ভিক্টিমহুড’ দিয়ে তৈরি বলে বর্ণনা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে নিজের সঙ্গীর সহানুভূতি পাওয়ার মাতাল প্রচেষ্টা থেকে শুরু হয়। অথবা তার মধ্যে ঈর্ষা জাগিয়ে তুলতে। এসবের শুরুটা ঝোঁকের বশেই শুরু হয়। আপনি জানতেন অভিযোগগুলো মিথ্যা কিন্তু তার পরও আপনি মিথ্যাচার চালিয়েছেন এবং তা অব্যাহত রেখেছেন। ’
বিচারক স্মিথ আরো বলেন, ‘এ ধরনের মামলাগুলো সত্যিকারের ঝুঁকি বহন করে। এখন কেউ সত্যি সত্যি ধর্ষণ বা যৌন হামলার শিকার হলে সে পুলিশের কাছে আসতে না-ও চাইতে পারে। হয়তো তার মধ্যে এই ভয় থাকবে যে পুলিশ তার অভিযোগ বিশ্বাস করবে না। এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ অপরাধীদের স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার সুযোগ করে দেয়। ’
জেমার ২০১০ সালে করা অভিযোগে সাত বছর জেল খেটেছেন মাহাদ কাসিম। তিনি বলেন, ‘এই মিথ্যা অভিযোগ আমার জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। আমার জীবনের একটি লক্ষ্য ছিল একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া। সুন্দর পরিবার নিয়ে সুখে থাকা। এখন আবার আমি সুখী হওয়ার চেষ্টা করছি।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ