সন্তান জন্ম দিল ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের শিশু
প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫৯
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবে ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হওয়া ১০ বছর বয়সী শিশুটি একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। যাকে দেশের সুপ্রিম কোর্ট কিছুদিন আগে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি।
১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে রাজ্যের রাজধানী চন্ডিগড়ের একটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এ সন্তানের জন্ম দেয় নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি। এর আগে গত মাসে গর্ভপাতের অনুমতির জন্যে আদালতে আবেদন জানানো হয়। যদিও সে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত কমিটির চেয়ারপার্সন ডা. দাসারি হরিষ বলেন, ‘নবজাতকের ওজন ২.৫ কেজি (সাড়ে পাঁচ পাউন্ড)। তাকে হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মেয়েটি স্থিতিশীল আছে। তাকে আলাদা একটি কক্ষে রাখা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ওই নাবালিকাকে গত সাত মাস ধরে বহুবার ধর্ষণ করেছিল এক চাচা। ধর্ষণকারী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু দেশের আদালত শিশুটিকে এই যুক্তিতে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি যে সে গর্ভাবস্থার একেবারে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল এবং ডাক্তারদের এক প্যানেলের রায় ছিল ওই অবস্থায় গর্ভপাতের চেষ্টা ‘খুব বিপজ্জনক’ হবে। তবে শিশুটি এখনও জানে না সে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। গর্ভাবস্থার সময় তাকে বলা হয়েছিল তার পেট ফুলে উঠেছে কারণ তার পেটে একটি বড় আকারের পাথর তৈরি হয়েছে।
ধর্ষিতা মেয়েটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে সেটা জানাই গিয়েছিল মাত্র সপ্তাহ পাঁচেক আগে - যখন পেটব্যথা হচ্ছে বলায় তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা-মা আগাগোড়াই বলে এসেছেন, তাদের কন্যার গর্ভে যে সন্তান এসেছে তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, তারা কোনও সম্পর্ক চানও না। ফলে সদ্যোজাত ওই সন্তানটিকে পরে দত্তক হিসেবে কোনও দম্পতিকে দেওয়া হবে বলেই স্থির হয়েছে। এ অবস্থায় গর্ভবর্তী শিশুটির গর্ভের সন্তানের দায়িত্ব নেয় স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থা।
সূত্র: বিবিসি