বিধানসভা নির্বাচন

জনগণের আস্থা মমতা-জয়ললিতায়

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৬, ২০:২১

জাগরণীয়া ডেস্ক

বিগত অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল নেতাদের নাম আসায় কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটের ক্ষমতায় আসার কথা বলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবে বিপরীত ঘটনাই ঘটেছে। আরও বেশি আসন নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২৯৪ আসনের বিধান সভায় এবার ২১৪টিতে তৃণমূল প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন, যা গতবারের চেয়ে ৩০টি বেশি। বিরোধী কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটের ঘরে উঠেছে ৭৪ আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেস মাত্র দুটি আসন হারালেও তাদের জোটসঙ্গী বামফ্রন্ট হারিয়েছে ৩১টি।

পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকের বেশি সময়ের শাসক বামফ্রন্টকে পাঁচ বছর আগে হটিয়ে মমতার উত্থানের পর এই রাজ্যে অবস্থান আরো জোরালো হয়েছে বিজেপির; তিনটির জায়গায় এবার ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছেন তাদের প্রার্থীরা।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর মমতা এনডিটিভিকে বলেন, “আমি সব সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তারা মাঠে ছিল না, আমিই ছিলাম।” 

তবে পশ্চিমবঙ্গ পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হলেও কেরালায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বামপন্থিরা। ১৪০ আসনের বিধানসভায় ৯১টিতে জিতেছে বাম-গণতান্ত্রিক জোট এলডিএফ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) পেয়েছে ৪৭টি আসন। এলডিএফের ঘরে নতুর করে ২৪টি এলেও ইউডিএফ জোট হারিয়েছে ২৩টি আসন।

এই রাজ্যের বিধানসভায় এর আগে কখনও বিজেপির উপস্থিতি না থাকলেও এবার একটি আসন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল।

এদিকে মমতার মতো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন আরেক ‘শক্তিশালী’ নারী জয়ললিতা। তামিল নাড়ুর ২৩৪ আসনের মধ্যে দুটি বাদে বাকিগুলোর ফল ঘোষণা হয়েছে, যেখানে জয়ললিতার দল এডিএমকে ১৩২টিতে জয়ী হয়েছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডিএমকে পেয়েছে ৯৯টি আসন।

তামিল নাড়ুকে ‘১ নম্বর রাজ্য’ করার প্রত্যয় জানিয়ে জয়ললিতা বলেছেন, এই নির্বাচন ডিএমকে পরিবারের রাজনীতির ইতি টেনেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত