ইমেইল কেলেঙ্কারি থেকে হিলারির দায়মুক্তি

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৬, ১৩:২১

অনলাইন ডেস্ক

ইমেইল কেলেঙ্কারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে দায়মুক্তি দিলো এফবিআই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তিনি একটি প্রাইভেট সার্ভার থেকে ইমেইল আদান প্রদান করেছিলেন, যা ছিল নিয়মের লঙ্ঘন। এ নিয়ে এক বছর অনুসন্ধান শেষে এফবিআই বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কাছে সুপারিশ করবে যে তার বিরুদ্ধে যাতে কোনো অভিযোগ দায়ের করা না হয়।

এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের সম্ভাব্য প্রমাণ’ মিললেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের যুক্তিসংগত হবে না।

কমে বলেন, হিলারি ক্লিনটন তাঁর ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারের একশর বেশি ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এ জন্য হিলারিকে ‘চরম অসাবধান’ বললেও কোনো অভিযোগ করা হবে না বলে জানান জেমস কমে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে থাকা ৩০ হাজার ই-মেইল পরীক্ষা করেছে এফবিআই। দীর্ঘ চার বছর এসব ই-মেইল ওই সার্ভারে জমা হয়েছে। এসব ই-মেইলের অন্তত ১১০টিতে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।

হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার বিষয়ে এফবিআইর বিশ্লেষণ হলো, এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অন্য কারো ঢোকা সম্ভব ছিল। পাঠানো বা গ্রহণ করা ১০০টির বেশি ই-মেইলে গোপন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। তবে সজ্ঞানে গোপন তথ্য অন্যকে জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ হিলারির বিরুদ্ধে নেই। আর গোপন করার জন্য কোনো ই-মেইল মুছে ফেলেননি হিলারি।

এফবিআই কোনো অভিযোগ না করার সিদ্ধান্তের খবরের পরও বিষয়টি হিলারি সম্পর্কে বিতর্কের রসদ জোগাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এফবি আই ২০১৪ সালে হিলারির সরবরাহ করা ৩০,০০০ ইমেইল পরীক্ষা করে দেখতে পায়, আটটিতে অতি গোপনীয় তথ্যছিল। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হিলারির জন্য সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ ছিল এই ইমেইল কেলেঙ্কারি। এখন তাকে দায়মুক্তি দেওয়ায় নির্বাচনে তিনি এর সুফল পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট