স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন আচরণও ধর্ষণ নয়!
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১২
স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক আচরণও ধর্ষণ নয় বলে রায় দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। তবে এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর বয়স অবশ্যই ১৫ বছরের বেশি হতে হবে। অন্যথায় তা ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) এক মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম বি লকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের সমন্বয়ে গঠিত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
আদালত বলেন, যদি স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে তার সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ বা স্বামীর জোরপূর্বক কোনো যৌন আচরণ ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে ১৫ বছরের নিচের কোনো মেয়েকে বিয়ে করাটাই অবৈধ।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ১৮ বছরের কম বয়সী কলেজপড়ুয়া ছাত্রী সম্মতিতেই শারীরিক সংসর্গ করছেন। পরে কোনো কারণে তিনি ওই পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করছেন। এ ঘটনায় কে দায়ী? ওই ছেলেটির তো সে সময় কোনো দোষ ছিল না। এ মামলায় সাত বছরের সাজা খুব কঠোর হয়ে যায়।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, একই সমস্যার সৃষ্টি হয় যখন ১৮ বছরের কম বয়সী কলেজপড়ুয়া ছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে স্বেচ্ছায় চলে যান। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ওই মেয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
আদালত শেষে বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি ১৫ বছর বয়সের নিচের কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্মতিতে বা জোর করে শারীরিক সংসর্গ করেন, সে স্ত্রী হলেও তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। তবে ১৮ বছরের নিচে ও ১৫ বছরের বেশি বয়সের স্ত্রীর সঙ্গে সম্মতিতে শারীরিক সংসর্গ বা জোরপূর্বক কোনো যৌন আচরণ ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না।
সূত্র: এবেলা