গ্রাম্য সালিসিতে বাবা-মার উপস্থিতিতে মেয়েকে ধর্ষণ!
প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:২০
পাকিস্তানের একটি গ্রাম্য সালিস বৈঠকে ভাইয়ের ধর্ষণ করার অপরাধের শাস্তি হিসেবে তার কিশোরী বোনকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেয়ার পর পুলিশ অন্তত বিশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মুলতানের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ বক্স এএফপিকে বলেন, গ্রাম্য সালিসি জিরগায় ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিশোরীর ভাই ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছিল। ভাইয়ের অপরাধে বোনকে এই শাস্তি দেওয়া হয় ওই সালিসিতে।
এই মাসের শুরুতে এক ব্যক্তি সালিসিতে অভিযোগ করেন, তার চাচাতো ভাই ১২ বছরের বোনকে ধর্ষণ করেছে। এরপর সালিসি অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বোনকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েটিকে জোর করে সালিসি বৈঠকে নিয়ে আসা হয়। এরপর বাবা-মার উপস্থিতিতেই সবার সামনে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
স্থানীয় থানায় পরে ধর্ষণের শিকার ওই দুই মেয়ের মা অভিযোগ দায়ের করেন। শারীরিক পরীক্ষায় দুই মেয়েই ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা আহসান ইউনাস বিবিসি উর্দুকে জানান, প্রথম যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, তার বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। প্রতিশোধ নিতে পরে যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, তার বয়স ১৬ অথবা ১৭ বছর। তিনি জানান, ২৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে। সালিসিতে যে সবার সামনে ১৬ বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে, সে এখনো ধরা পড়েনি।
২০০২ সালে জিরগা মুখতার মাই নামের ২৮ বছরের এক নারীকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয়। তার ১২ বছরের ভাইয়ের সঙ্গে বয়স্ক এক নারীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে এমন শাস্তি দেওয়া হয় মুখতারকে। মুখতার এখন সোচ্চার নারী অধিকারকর্মী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।
সূত্র: বিবিসি বাংলা