কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা
প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৭, ১৫:১৪
দেশের ৬৪টি জেলার শত শত গ্রামের বিপুল সংখ্যক নারী রাষ্ট্র পরিচালিত একটি প্রকল্পের অধিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
প্রকল্পের অধিনে সহস্রধিক নারী কম্পিউটার ও আইসিটিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন সাইবার ক্যাফে এবং দেশের বিভিন্ন শহর ও পল্লীর বাণিজ্য কেন্দ্রে চাকরি করছেন। তাদের কেউ কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের মধ্যে ৬৪টি জেলায় ২৮ হাজার ৭০ জন নারীকে স্বাবলম্বী করতে তাদেরকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
২০০২ সালের জুলাই মাসে জেলা ভিত্তিক ‘নারী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প’ চালু করা হয় এবং ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পযর্ন্ত এই প্রকল্প চালু ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই প্রকল্প দশটি জেলায় চালু ছিল। তবে পরবর্তীতে এই প্রকল্পের কার্যক্রম ৩০টি জেলায় সম্প্রসারিত করা হয় এবং ২০১৩ সাল পযর্ন্ত এটি অব্যাহত ছিল। নারীদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদানের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধিন জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা ভিত্তিক নারী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প নামে তৃতীয় পযার্য়ে একটি প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করে। তৃতীয় পযার্য়ে এখন দুটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এর একটি হলো ৬৪ টি জেলায় জেলা ভিত্তিক নারী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পযার্য়) এবং নারীদের জন্য আইটি কর্মসূচী। ২০১৩ সালে এ প্রকল্পটি চালু হয় এবং এটি ২০১৮ সালের জুন পযর্ন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
স্থানীয় পযার্য়ে জেএমএস জেলা পযার্য়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করছে। প্রকল্পের অধিন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ি কম্পিউটারে ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর ব্যবসা শুরু করতে কর্মসংস্থান ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক প্রশিক্ষিত নারীদেরকে ব্যাংক লোন দিচ্ছে।
জেএমএস’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম বলেন, আমরা প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি সফলতা অজর্ণ করেছি।
তিনি বলেন, প্রকল্পের অধিনে নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতোমধ্যেই স্বাবলম্বী হয়েছে। তাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। তারা সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। প্রকল্পের পাশাপাশি জেএমএস তথ্য আপা নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রকল্প নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
জেএসএম চেয়ারম্যান বলেন, তৃণর্মূল পযার্য়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগের সুফল এই প্রকল্প পাবে বলে আমরা আশাবাদি।