আগামি বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ৫০ নম্বর

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৪৬ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৪৯

অনলাইন ডেস্ক

আগামিতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশ্ন রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে ৫০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। সাব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সম্প্রতি পিএসসির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আগামি বিসিএস পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয় প্রশ্ন রাখার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিসিএস পরীক্ষায় নির্দিষ্ট নম্বরের প্রশ্ন ছিল না। তবে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকার ফলে চাকরি প্রার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ব্যাপক ধারণা তৈরিতে সহায়ক হবে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিকে বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ১০০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পিএসসির এ সংক্রান্ত সাব কমিটি ৫০ নম্বর প্রশ্ন রাখার পক্ষে সুপারিশ করে। তারই ভিত্তিতে কমিশন আগামিতে বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ৫০ নম্বর রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে আগামিতে কত নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে- সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা হচ্ছে- ৯০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে। এ ছাড়াও বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। এতে ইংরেজি ভার্সন ও ইংরেজি মাধ্যম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা আগামীতে পরীক্ষা দিতে পারবেন ইংরেজি ভাষাতেই। ৯০০ নম্বরের বাইরে উভয় ক্যাডারের জন্য বিষয়ভিত্তিক ২০০ নম্বরের পরীক্ষা বাদ দেওয়ার উপায় খুঁজছে কমিশন।

চার বিসিএস’র কার্যক্রম

৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম এই চারটি বিসিএসের কার্যক্রমের একসঙ্গে পরিচালনা করছে পিএসসি। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কমিশন। মার্চ মাসেই ৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ১২ মার্চ থেকে ৩৬তম বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন ১০টি বোর্ড এই পরীক্ষা গ্রহণ করছে। ৩৬তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার ফাঁকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সামনে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। ইতোমধ্যে দুই হাজার শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছে পিএসসি। তবে দুটি ক্যাডারে নিয়োগ দানে বিধি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। ওই চিঠির জবাব পেলে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এপ্রিলে বিজ্ঞপ্তি জারির পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মে’তে সেটি জারি করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন পিএসসির নীতি নির্ধারকরা।

পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বর্তমানে একসঙ্গে চারটি বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে। একসঙ্গে এতগুলো বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো সত্যি দুরূহ ব্যাপার। শুধু বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্য পিএসসি বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফলও প্রকাশ করা হচ্ছে। এর ফলে আগামিতে পিএসসির অধীন কোনো পরীক্ষায় বিন্দুমাত্র ভোগান্তি থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।