‘নারী পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন’
প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৫ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:২৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, নারী পুলিশ সদস্যরা দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মত গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় তারা অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন। তাদের পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার রাতে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে Women’s Leadership Institute Training শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ কোর্সটিকে সময়োপযোগী ও কার্যকর উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা নিজ নিজ দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নেতৃত্ব দানেও আপনাদেরকে দক্ষ করে তুলবে। তিনি প্রশিক্ষণে অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থী নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার), JoAnne Wagner, Deputy Chief of Mission, Embassy of the United States of America, Dhaka, Gary Bullard, Principle Deputy Director, USDOJ/ICITAP Headquarters, Washington.
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে মাত্র ১৪ জন নারীর অন্তর্ভুক্তি ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে নারী পুলিশ সদস্যরা অপরাধ দমন, অপরাধ উদঘাটন এবং তদন্তের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করছেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও নারী পুলিশ সদস্যরা ইতোমধ্যে দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
জনাব পাটোয়ারী বলেন, শুধু দেশেই নয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশের নারী পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
JoAnne Wagner বাংলাদেশে নারী পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, তারা ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নির্যাতিত নারীর সুরক্ষা এবং আইনগত সহায়তা প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র পুলিশ স্টাফ কলেজ হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ পেশাদার ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পুলিশ স্টাফ কলেজকে এ প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ কোর্সে ইন্দোনেশিয়ার ২ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ১ জন, পাকিস্তানের ৬ জন এবং বাংলাদেশের ৩০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৯ জন অংশগ্রহণ করছেন।