চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৫৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এ জন্য সারসংক্ষেপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  তবে আপাতত চাকরিতে অবসরের বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানা গেছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ৩২ বছর করার প্রস্তাব করলেও সরকার ইচ্ছা করলে সেটা আরও বাড়াতে পারে। কারণ এটা সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়। তারা বিভিন্ন দিক চিন্তা করে ৩২ করার প্রস্তাব করছেন। 

তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগকে সমর্থন করেন না সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, বেশি বয়সে চাকরি হলে ভালো হয় না। এ ছাড়া এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটও নেই।

অবশ্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছরই করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করলেও তাদের আন্দোলন চলবে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা সঠিক হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন না।

২০১১ সালে চাকরিতে অবসরের বয়স বৃদ্ধির সময় প্রবেশের বয়স ৩২ করলে তখন ঠিক ছিল। এখন ৩৫ বছর করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বা তার বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের আগে দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ৩০ বছর। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত