মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বাবা-মার সঙ্গে ছিলেন তিন সন্তান
প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৭, ১৬:২৩ | আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭, ১৬:৩৪
পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল বহুতল টাওয়ারে গত ১৪ জুন (বুধবার) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কামরু মিয়ার (৮২) পরিবারও ছিলো। ভবনটির ১৭ তলায় বাংলাদেশি পরিবারটি থাকতো।
জানা যায়, টাওয়ারটিতে আগুন লাগার পর লিফট বন্ধ হয়ে যায়। ১৭ তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসাটা কামরু ও তার ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী রাবেয়ার জন্য অসম্ভব ছিল। মৃত্যু নিশ্চিত বুঝতে পেরে কামরু মিয়া সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেন। তিন সন্তান হামিদ (২৯), হানিফ (২৬) ও হুসনা (২২) কে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যেতে বলেন। কিন্তু সন্তানরা কিছুতেই বাবা-মাকে ছেড়ে যেতে রাজি নন। বাবা-মা সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারবেন না। তাই বাঙালির পরিবারের তিন সন্তান বাবা-মার সঙ্গেই মৃত্যুকে বরণ করার সিদ্ধান্ত নিন।
সিঁড়ি দিয়ে ১৭ তলা থেকে নেমে তারা বাঁচতে পারতেন কী না- সেটা পরের বিষয় ছিল। কিন্তু তারা বাবা মাকে অসহায় অবস্থায় একা ফেলে রেখে যেতে চাননি। আগুন লাগার পর কামরু-রাবেয়া দম্পতির সন্তানদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যাদের কথা হয়েছিল তারা এ তথ্য দিয়েছেন। হামিদ-হানিফ-হুসনাদের সেই মানবিকতাই এখন সবার মুখে মুখে। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি প্রয়াত কামরু মিয়ার পরিবারের এখন একজন সদস্যই বেঁচে আছেন। নাম মোহাম্মদ হাকিম। আগুন লাগার সময় হাকিম টাওয়ারে ছিলেন না।