ব্রিটেনের রাণীর কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৯, ১২:৩১
ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় ০১ মে (বুধবার) সকালে বাকিংহাম প্রাসাদে রাণীর কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের প্রত্যায়ন সম্বলিত নিজের এই পরিচয়পত্র পেশ করেন ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
ব্রিটেনের রাণী হাইকমিশনারকে যুক্তরাজ্যে স্বাগতম জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এরপর হাইকমিশনার রাণীর সঙ্গে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামরিক উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম, আমিনুল হক, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. লুৎফুল হাসান, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এসএম জাকারিয়া হক এবং প্রথম সচিব মো. শফিউল আলম।
রাণী কর্তৃক নিজের পরিচয়পত্র গৃহিত হওয়ায় হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এটি আমার জন্য এক বিরল গর্বের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, কেন জানি বারবার রাজতন্ত্রের দেশগুলোতে আমার দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়। এর আগে কিংডম অব থাইল্যান্ড ও কিংডম অব কম্বডিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছি। এবার এসেছি ইউনাইটেড কিংডমে। তবে এই দেশটি কিন্তু শুধুই একটি কিংডম নয়, বিশ্বের দীর্ঘতম রাজতন্ত্রের দেশ এটি।
ব্রিটেনকে বিশ্বের কেন্দ্র উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, ব্রিটেন-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হিসেবে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কমন মূল্যবোধের পারস্পরিক ভাগাভাগির মাধ্যমেই দুদেশের এই সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে।
এর আগে ব্রিটেনের রাণীর প্রতিনিধি ডিপ্লোমেটিক কর্পের মার্শাল অ্যালিস্টার হ্যারিসন কুইন্স গেইটস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে আসেন এবং হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, তাঁর স্বামী ও হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে বার্কিংহাম প্যালেসে নিয়ে যান। এ সময়ে প্যালেসের সামনে শত শত দর্শক রাজকীয় বহরের প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায় এবং ছবি তোলেন।
পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এবং ব্রিটিশ ডিপ্লোমেটিক কর্পের প্রধান স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড, ডিপ্লোমেটিক কর্পের এ্যাসিসটেন্ট মার্শাল এবিগেইল বয়েল এবং রাণীর একজন প্রতিনিধি প্যালেসের প্রধান ফটকে হাইকমিশনারকে অভ্যর্থনা জানান।