মা হলেন টিউলিপ

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:২৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

দ্বিতীয়বারের মতো মা হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। গত ১৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে হ্যাম্পস্টিডের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিক ও তার স্বামী ক্রিস্টিয়ান পার্সি হাসপাতালের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

টিউলিপ বলেন, ‘চমৎকার দায়িত্বপালন ও আমাদের সন্তানের যত্ন নেয়ায় রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ধাত্রী ও কর্মীদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ 

টিউলিপের দ্বিতীয় সন্তানের নাম রাফায়ের মুজিব সেন্ট জন পার্সি। এর আগে ২০১৬ সালে আজালিয়া নামের একটি কন্যা সন্তান তার কোলে আলো ছড়িয়ে পৃথিবীতে আসে।

এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তির ভোটাভুটিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন টিউলিপ সিদ্দিক।

যখন ভোটাভুটিতে অংশ নিতে যান, তখন তার অস্ত্রোপচার কক্ষেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু ব্রেক্সিট ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তিনি ভোট দিতে পার্লামেন্টে যান।

পার্লামেন্টে নীল পোশাক পরে ও হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে টিউলিপকে। তিনি জানিয়েছেন, ভোটাভুটিতে অংশ নিতে নিজের সন্তান জন্ম দেয়ার দিনক্ষণ সপ্তাহের শেষে নিয়ে গেছেন তিনি।

সিজার করাতে বঙ্গবন্ধুর এ নাতনিকে গত সোম কিংবা মঙ্গলবার যেতে বলেছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু পার্লামেন্টে ভোট দেয়ার জন্য তিনি সেটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পিছিয়ে নেন।

টিউলিপ বলেন, ‘চিকিৎসকের দেয়া পরামর্শের একদিন পরও যদি আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে, তবে সে এমন এক পৃথিবীতে আসবে যেখানে ব্রিটেন ও ইউরোপের মধ্যে জোরালো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে।’

তার এ ভূমিকায় ব্রিটেনের পার্লামেন্টে প্রক্সি ভোট বিতর্ক নতুন করে শুরু হয়। দেশটির পার্লামেন্টে প্রক্সি ভোটের কোনো সুযোগ নেই।

এমনকি কেউ যদি সম্প্রতি সন্তান জন্ম দেন কিংবা সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন, তিনিও প্রক্সি ভোটের ব্যবস্থা করতে পারবেন না।

তবে পেয়ারিং সিস্টেম নামে একটি উপায় আছে। এতে কোনো এমপি ভোট দিতে না পারলে প্রতিপক্ষের কাউকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে রাজি করাতে পারেন। এর অর্থ দাঁড়ায় দুদল থেকে দুজন ভোটে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কিন্তু এ পদ্ধতিতে বিশ্বাসী নন টিউলিপ। তিনি বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক জো সুইনসনের সঙ্গে ট্রেড বিলের ভোট নিয়ে এমন একটি অঙ্গীকার দিয়ে রাখেননি কনজারভেটিভ চেয়ারম্যান ব্রান্ডেন লেইস।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত