'কাজে ভুল হলেই চলতো অসহনীয় নির্যাতন'

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩০ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪০

অনলাইন ডেস্ক

শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক কিশোরী (১৬)। সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়েই নানাভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঐ কিশোরী বলেন, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদম ব্যবসায়ী আক্তার মিয়া সৌদি আরবে হাসপাতালে কাজ করার প্রলোভন দেখায় বাবাকে। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আমি ও আমার ছোট বোন সৌদি আরবে যাই কাজের জন্য। কিন্তু হাসপাতালে কাজের পরিবর্তে এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয় আমাদের। যার বাড়িতে কাজ করতাম, ঐ বাড়ির গৃহকর্তাসহ পরিবারের সব সদস্যই আমাদের মারধর করতো। কাজে একটু দেরি বা ভুল হলেই ফ্রিজের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দিতো, দেয়ালের সঙ্গে মাথা ধাক্কা দিতো। এসিডে ঝলসে দিয়েছে কয়েকবার। পালাতেও পারতাম না, কারণ পাসপোর্ট গৃহকর্তার কাছে জমা ছিল।

ঐ কিশোরী জানান, তিনি এতোদিন নির্যাতন সহ্য করে থেকে গেলেও তার ছোট বোন সৌদি আরবে যাওয়ার ২০-২৫ দিন পরেই বাংলাদেশে ফেরত চলে আসে। অবশেষে গত ৫ জানুয়ারি (শনিবার) ওই কিশোরী দেশে আসেন। তবে দেশে পাঠানোর সময় তার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী মুঠোফোন, মেমোরি কার্ড এবং তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার রিয়েল রেখে দেন বলে অভিযোগ ঐ কিশোরীর।

এদিকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মোহাম্মদ সাইফ বলেন, ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে নির্যাতিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার পুরো শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাকে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।