বাংলাদেশি কিশোরীকে সম্মাননা মার্কিন ফার্স্ট লেডির
প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০১৭, ১২:১৮ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৬:২৩
সাহসী পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের শারমিন আকতারসহ ১২ জন নারীকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইম্যান অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করবেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। নিজের বাল্য বিয়ে আটকে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কিশোরীদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টির জন্য শারমিনকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
২৯ মার্চ (বুধবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দু’জন এই সম্মাননা লাভ করতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন শারমিন। পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান কার্যালয় ফগি বটমে ১ এপ্রিল (শনিবার) শারমিন ও অন্যান্যদের সম্মাননা দেবেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলিনা ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক সচিব থমাস এ. শ্যানন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও উপস্থিত থাকবেন।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাল্য বিয়ের জন্য বাংলাদেশে বহু শিশু-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শারমিন এক বয়স্ক লোকের সঙ্গে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক বিরল উদাহরণ তৈরি করেছেন। তিনি নীরবতা ভাঙার সাহস দেখিয়েছেন। কথা বলেছেন নিজের অধিকারের জন্য। সেই সঙ্গে তার মা এবং অন্যান্যদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
১৫ বছর বয়সী শারমিন তখন স্কুলের শিক্ষার্থী। তার মা বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শারমিন সেই বিয়ে আটকে দিয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। রাজাপুর পাইলট গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী শারমিন ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চায়। সেই সঙ্গে কুসংস্কার ও জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করার ইচ্ছা তার।
সম্মাননা পাওয়া সবাইকে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা আটলান্টা, ডেনভার, মিনিয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, পেনসাকোলা, পিটসবার্গ, পোর্টল্যান্ডসহ বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করবেন। পরে ওই নারীরা লস অ্যাঞ্জেলেসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানাবেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০০৭ সাল থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইম্যান অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করছে। এখন পর্যন্ত শান্তি, বিচার, মানবাধিকার, জেন্ডার এবং নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী শতাধিক নারীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।