গুণীজন সংবর্ধনা পেলেন রুনা লায়লা
প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:০৩
উপমহাদেশের কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা তার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি ও সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবারের গুণীজন সংবর্ধনায় সম্মাননা অর্জন করলেন। শনিবার বিকালে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটিতে রুনা লায়লার হাতে সম্মাননা তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সিটি ব্যাংক এন.এ. বাংলাদেশে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কন্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমান রুনা লায়লা প্রসঙ্গে বলেন, “সবাই কিংবদন্তী হতে পারেন না। কিংবদন্তী হাতে গোনা কয়েকজন হতে পারে। কিন্তু রুনা লায়লা সত্যিকার অর্থেই একজন কিংবদন্তী শিল্পী।”
ইমন সাহা রুনা লায়লা প্রসঙ্গে বলেন, “এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার আগে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলেন আমি আজ কোথায় যাচ্ছি। তাকে উত্তরে আমি পুরস্কার পাচ্ছি জানালে তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে জানতে চাইলেন কারা আমাকে পুরস্কার দিচ্ছেন। তখন তাকে আমি বলি, রুনা লায়লাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আমাকে বক্তৃতা দিতে বলা হয়েছে। আমার জন্য এটাই পুরস্কার।”
ইমন সাহা বক্তব্যের পরপরই রুনা লায়লার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
এ পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে পুরস্কার পেলে তো ভালোই লাগে। সিটি ব্যাংক প্রতি বছর শিল্পীদের কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে। আমি এ বছর পেয়েছি। আমার কাজের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষটাও রয়েছে। তাছাড়া এ মাসেই আমার জন্মদিন। আর এ মাসেই আমি পুরস্কার পেলাম, খুবই ভালো লাগছে।”
অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার আটটি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী কোনাল। ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি’, ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘সুখ তুমি কি’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে’, ‘বন্ধু তিনদিন’, ‘শিল্পী, আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’- এর মতো জনপ্রিয় গান দিয়ে আসর মাতিয়ে রাখেন তিনি।
‘বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে’ গানটি যখন কোনাল গাইছিলেন তখন রুনা লায়লাও তার সঙ্গে কন্ঠ মেলান। এছাড়াও ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’ গানটি রুনা লায়লা ও কোনাল একসঙ্গে পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুনা লায়লার স্বামী অভিনয়শিল্পী আলমগীর, সুবীর নন্দী, রিজিয়া পারভীন প্রমুখ।