জাতিসংঘে মর্যাদাপূর্ণ দুই অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১৮
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির জন্য অনন্য নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘২০১৮ স্পেশাল ডিস্টিংকশন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট’ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় ২৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষ ৮-এ অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সংবর্ধনায় ডিরেক্টর জেনারেল অব ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম লুসি সুইংয়ের কাছ থেকে শেখ হাসিনা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন।
এতে কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি মার্ক লোকক, আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক কানাডার মন্ত্রী মারি-ক্লাউড বিবেউ বক্তব্য দেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন আইপিএস ইন্টারন্যাশনালের মহাপরিচালক ফারহানা হক রহমান।
নিউইয়র্ক, জুরিখ ও হংকংভিত্তিক একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন ‘২০১৮ স্পেশাল ডিস্টিংকশন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট’ সম্মাননা দেয়। প্রধানমন্ত্রীকে তার অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড ডিনারে সংস্থাটির অবৈতনিক প্রেসিডেন্ট ইরিনা বোকোভা ‘২০১৮ স্পেশাল ডিস্টিংকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন। এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকারী অপর তিন বিশ্ব নেতা হচ্ছেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মাহমাদু ইসুফি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট রেজি কেইড এসেবসি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী এলেক্স সিপ্রাস।
পদক গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের আশ্রয়ে হৃদয় ও ঘরবাড়ি উন্মুক্তকারী আমার দেশের জনগণের উদ্দেশে এই সম্মাননা উৎসর্গ করছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের নিপীড়িত ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শন সকল দায়িত্বশীল জাতির দায়িত্ব। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নিজস্ব সম্পদ থেকে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। এ ছাড়া আবাসন গড়ে তোলা ও ভূমি উন্নয়নে অতিরিক্ত প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংকটের উৎসভূমি হচ্ছে মিয়ানমার। এ জন্য এর সমাধান মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান দীপু মনি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী অন্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।