জাতিসংঘে রাঙামাটির মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী
প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৬, ০১:৪৫
১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া জাতিসংঘের আদিবাসী ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য এ বছর প্রথমবারের মত বাংলাদেশের একজন আদিবাসী নারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ ২০১৬ আদিবাসী ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন 'স্পার্ক' এর প্রতিষ্ঠাতা, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক রাঙামাটির মেয়ে মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী।
৬ষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে এই ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন সাথী। এর আগে গত ১৯ বছরে বাংলাদেশ থেকে এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন মাত্র ৫ জন।
বর্তমানে জাতিসংঘে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের বিভিন্ন উপকরণ ও কার্যপন্থার ব্যবহার নিয়েই এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
রাঙামাটি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে শান্তিনিকেতনে সঙ্গীত নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও পারিবারিক প্রতিকূলতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশুনা করেন সাথী। পেশা হিসেবে একসময় সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সাথী সচেষ্ট ছিলেন সবসময়। ব্লাস্ট, অ্যাকশন এইড, এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপল প্যাক্ট সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করা সাথী বর্তমানে কাজ করছেন লন্ডনের মাইনরিটি রাইটস গ্রুপে। এছাড়া দক্ষিণ এশীয় নারীবাদী সংগঠন SANGAT এ বাংলাদেশের ৩ জন কোর গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে সাথী একজন।
২০১২ সালে ইউনিসেফ এর পক্ষ থেকে মিনা পুরস্কার বিজয়ী সাথী দক্ষিণ এশীয় তরুণ নেতাদের নিয়ে সুইডেনের প্রথম 'Young Connectors of Future' এও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সুইডেন থাকাকালীন সময়ে পাকিস্তান ও আফগান বন্ধুদের কাছ থেকে প্রতিদিনের বোমা হামলার রোমহর্ষক কাহিনী শুনে নিজের অভিজ্ঞতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে গড়ে তুলেন একটি সংগঠন স্পার্ক (Supporting People and Rebuilding Communities)। নারীর সামাজিক ও আইনী অধিকার নিয়ে প্রশিক্ষণমূলক কাজ করে এই সংগঠন।