আবারো জয়ের মুকুটে কলসিন্দুরের মেয়েরা
প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:১২ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:০৮
আবারো নিজেদের নৈপুণ্যে ফুটবলের মাঠে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছে কলসিন্দুরের মেয়েরা। জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা দল।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবারের ফাইনালে ষষ্ঠ মিনিটে সাজেদার গোলে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ। পরে দশম মিনিটে দ্বিতীয় ও ৪২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করা এই ফরোয়ার্ড নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ৬৪তম মিনিটে। একপেশে ফাইনালে এই জয়ী দলের জন্য আরো দুটি গোল করেন রুজিনা ও শামসুন্নাহার।
সাজেদার চার গোলে রংপুর জেলাকে ৬-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল দলটি। ১২ গোল করে সাজেদা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। রংপুরের ডিফেন্ডার রুনা পেয়েছেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
ফাইনালে হেরে অশ্রুসজল কণ্ঠে রুনা বলেন, “আমরা পারলাম না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন পরেরবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন আমার”।
এদিকে জাতীয় দলে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড মার্জিয়ার ছোট বোন তানিয়া খেলেছেন ময়মনসিংহ দলে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া এই কিশোরী জানালেন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নের কথা।
“বোনের মতো আমিও বড় খেলোয়াড় হতে চাই। জাতীয় দলে খেলতে চাই। ওর মনে যেমন আশা আছে; আমার মনেও আশা আছে। সংসারের জন্য ও (মার্জিয়া) অনেক কিছু করে, আমিও করতে চাই।”
এমন অসাধারণ জয়ের পর কোচ মকবুল হোসেন জানান, ময়মনসিংহের মুকুট ধরে রাখার স্বপ্ন পূরণ করেছে কলসিন্দুরের মেয়েদের নৈপুণ্য। গতবার অন্য স্কুলের খেলোয়াড়রা দলে থাকলেও এবারের সবাই কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
শিরোপা ধরে রাখার পেছনের গল্পটা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের মকবুল বলেন, “তিন বছর এই মেয়েদের নিয়ে কাজ করছি। ওরা আসলে কথা শোনে। খেলাটা ভালোবাসে। এই দলের সবাই কলসিন্দুরের। তবে এবার আমি নান্দাইলের দিকে নজর দেব। একটু সযোগ সুবিধা বাড়াতে পারলে ওখান থেকেও ভালো ফুটবলার উঠে আসবে।”
অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় উঠে আসছে বলে স্বস্তি অনুভব করছেন জাতীয় মহিলা দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও।
তিনি বলেন, “টুর্নামেন্ট ভালো হয়েছে। জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ দলের লাবনী, ময়ূরীসহ ছয়-সাত জন এই প্রতিযোগিতায় খেলেছে। তবে নতুন অনেককে দেখলাম, যারাও আগামীতে জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। এই যে নতুনরা উঠে আসছে, এটা আমাদের মহিলা ফুটবলের জন্য খুবই ভালো।”