নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৯:৫৯
ঘরের মাঠে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে হবে আসরটি। এই আসরের সেরা তিন দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারলেই পরবর্তী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশের কিশোরীরা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্ব বসছে থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে বাংলাদেশও খেলবে চূড়ান্ত পর্বে এটা এখন নিশ্চিত।
এই আসরের সেরা তিন দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়ে পরবর্তী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের খেলতে আশাবাদী বাংলাদেশ নারী ফুটবলাররা।
দলটির কোচ গোলার রাব্বানি ছোটন বলেন, ‘ঘরের মাঠে আমাদের মেয়েরা যে সাফল্য এনে দিয়েছে তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই সাফল্য আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। মূল পর্বেও আমরা ভালো কিছু করে পরবর্তী বিশ্বকাপেও খেলতে আশাবাদী।’
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মূল পর্বকে সামনে রেখে একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে। আগামী এক বছর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, নারী ফুটবলারদের দেওয়া হবে বেতন-ভাতাও।
এ জন্য একটি স্পন্সরও পেয়েছে বাফুফে। এসএস সলিউশনস আগামী এক বছর এই ফুটবলারদের বেতন-ভাতা দেবে এবং ক্যাম্পের খরচও বহন করবে।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেওয়া দেওয়া হয়। তিনটি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নারী ফুটবলারকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক ও জেমকন গ্রুপ ৫০ হাজার টাকা করে এবং ক্যাল্ডওয়েল গ্রুপ ২৫ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার দেয় প্রত্যেককে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পুরো দেশ তোমাদের সাফল্যে গর্বিত। ভবিষ্যতেও তোমরা আরো বড় সাফল্য এনে দেবে বলে আমরা আশাবাদী। এখন তোমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’