চলে গেলেন মার্গারিটার বাবা মামুন

'বাংলার বাঘিনী' হিসেবে খ্যাত রিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী রুশ জিমন্যাস্ট মার্গারিটা মামুনের বাবা বাংলাদেশি আব্দুল্লাহ আল মামুন মারা গেছেন। শুক্রবার বিকালে মস্কোয় নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন। 

গত ২০ আগস্ট মার্গারিটা সোনা জেতার পরদিন এক ফেসবুক পোস্টে গত বছর মস্কোয় এই জিমন্যাস্ট ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেন শাহরিয়ার আলম।

সেই পোস্টে তিনি লিখেন, “মামুন ভাই কথা দিয়েছেন, অলিম্পিকের পরে মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তখন‘বাংলার বাঘীনি’র জন্য ফুলের তোড়াটা নিশ্চয় আরও অনেক বড় হবে”। 

এর দুদিন পর আরেক ফেসবুক পোস্টে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অসুস্থতার কথা জানান তিনি।

শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যু সংবাদ জানান তিনি। 

তিনি জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই সপ্তাহ আগে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।

শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মস্কোর সবচেয়ে বড় মসজিদে আব্দুল্লাহ আল মামুনের জানাজা হবে। মস্কোতেই তাকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়। তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। মার্গারিটা মামুন এর স্বজনরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন মামুন। আশির দশকের প্রথম দিকে মেরিন প্রকৌশলে বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া চলে যান তিনি। পরে সেখানে আন্না মারাদিকা নামে এক জিমন্যাস্টকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির সন্তান মার্গারিটা মায়ের কাছ থেকেই রিদমিক জিমন্যাস্টে দীক্ষা পান।

অলিম্পিকে সোনা জেতার পর মার্গারিটাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দনপত্র পাঠান বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান। ওই বার্তা মার্গারিটার মায়ের কাছে পৌঁছানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বার্তায় মার্গারিটাকে সপরিবারে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।