বাংলাদেশের জয়া হচ্ছেন ফিফা রেফারি!
প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ২৩:৪৮
এক সময় পায়ে বল জড়িয়ে টানা চার বছর বয়সভিত্তিক ফুটবলের পাশাপাশি খেলেছেন জাতীয় দলেও। ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজেএমসির হয়ে খেলেছেন ঘরোয়া ফুটবলে। এরপর দৌড়েছেন রেফারি হবার পথে। লেবেল ৩, ২ ও ১ কোর্স করে জাতীয় পর্যায়ে রেফারি তো আগেই হয়েছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্মাননার দৌড়ে পিছিয়ে থাকবেন কেন? ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশের জয়া চাকমা। এখন অপেক্ষা কেবল ফিফার স্বীকৃতির। আর তা মিললেই জয়া চাকমা হবেন বাংলাদেশের নারী ফিফা রেফারি।
তবে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে একা নন জয়া। তার সঙ্গে সহকারি রেফারি হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশের সালমা ইসলামও।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম নেসার বলেন, "জয়া ও সালমা উভয়েই ফিফার দেওয়া পরীক্ষায় পাস করেছেন। ফলে তাদের আর ফিফা রেফারি ও সহকারি রেফারি হতে কোনও বাধা নেই। আমরা শীঘ্রই ফিফার কাছে তাদের ফিটনেস টেস্টের রিপোর্টগুলো পাঠাবো। আশা করছি আগামী বছরের আগেই তারা স্বীকৃতি পাবে।"
নিজের এই অর্জনের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে জয়া বলেন, "২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে শ্রীলঙ্কা গিয়ে দেখি সেখানে বিভিন্ন দেশের নারী রেফারিরা রয়েছেন। তখন থেকেই ঠিক করি আমাকে যে করেই হোক এই অবস্থানে যেতে হবে। তখন থেকেই ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য কঠোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। এর আগে দুইবার এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছি কিন্তু হার মানিনি। অবশেষে সাফল্যের দেখা পেয়েছি"।
শুধু রেফারিং নয়, বিকেএসপিতে মেয়েদের ফুটবলের কোচও জয়া। গত নভেম্বরে তার অধীনে ভারতে সুব্রত মুখার্জি আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিকেএসপির মেয়েরা জিতেছে শিরোপা। এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স শেষ করা জয়ার ইচ্ছে রেফারি হিসেবে ফিফার স্বীকৃতি পাওয়ার পর এএফসির এলিট প্যানেলের জন্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে সম্মানের সাথে তুলে ধরার স্বপ্নই দেখেন জয়া। তাকে দেখে দেশে অন্য মেয়েরাও অনুপ্রাণিত হবে এমনটাই আশা করেন তিনি।