সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপল, কম আস্থা ফেসবুকে
প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৬, ২০:৫০
প্রযুক্তিনির্ভর এ যুগে তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রশ্নে সবারই উদ্বেগ থাকে। এ নিরাপত্তার প্রশ্নে বিশ্বস্ততায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য তো বটেই, ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদানে প্রশাসনের চেয়েও ব্যবহারকারীরা বেশি নিরাপদ ভাবেন অ্যাপলের যে কোনো প্রযুক্তিপণ্য বা মাধ্যমকে।
এ তথ্য দিচ্ছে সম্প্রতি পরিচালিত একটি জরিপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের ওপর পরিচালিত জরিপটি বলছে, ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদানে আমরা অ্যাপলের পণ্য বা মাধ্যমকে যতটা পছন্দ করি; তার চেয়ে অনেক কম বিশ্বাস করি অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা মাধ্যমকে। আর অবিশ্বাসের দিক থেকে সবচেয়ে ‘এগিয়ে’ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
যদিও ফেসবুকের মেসেজিং অ্যাপ (হোয়াটস অ্যাপ) প্রযুক্তিপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে জরিপটি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাড়ে তিন হাজারের বেশি নারী-পুরুষের (দুই হাজার ৯১৩ জন পুরুষ, ৪৪৬ জন নারী) ওপর এ জরিপ চালায় ‘টেকরাডার’ নামে একটি প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ প্রযুক্তিপ্রেমী জানান, ব্যক্তিগত তথ্য দিতে তারা কোনো ব্র্যান্ডকে বিশ্বাস করেন না, এমনকি তাদের সরকারকেও না। যদি তথ্য আদান-প্রদান করতেই হয়, তবে সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ অ্যাপল। এরপর রয়েছে গুগল ও মাইক্রোসফট।
বিশ্বস্থতার এ জরিপের উল্টো অনাস্থা সংক্রান্ত আরেক জরিপের ফলাফল বলছে, প্রযুক্তির মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে কম বিশ্বস্ত হচ্ছে ফেসবুক। জরিপে অংশ নেওয়া ৩২ শতাংশ প্রযুক্তিপ্রেমীই এ মত দেন।
ফলাফলে দেখা যায়, অন্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় কানাডার নাগরিকরা তাদের সরকারকে তথ্য প্রদানে বেশি পছন্দ করেন।
তবে ফেসবুকের ওপর আস্থা কম থাকলেও জরিপে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলেন, হোয়াটস অ্যাপ ছাড়া বেঁচে থাকা ‘অসম্ভব’।
এক্ষেত্রে মেসেজিং অ্যাপ ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি ‘আসক্ত’। আর পুরুষদের আসক্তির জায়গা গুগল ম্যাপ, ইউটিউব, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত অ্যাপে।
এ বিষয়ে টেকরাডারের এডিটর-ইন চিফ প্যাট্রিক গস বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানে মানুষ তার সরকারকে বিশ্বাস করেন না, এ বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্মিত তা বলতে চাই না; তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিশ্বস্ততার বিষয়টি আশ্চর্যজনক।