জাল সিম বন্ধ করতে পারবেন গ্রাহক
প্রকাশ | ৩০ জুন ২০১৬, ২২:২৩
এক জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে কতটি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয় তা ৭ জুলাই থেকে মোবাইল ফোন অপারেটররা গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জালিয়াতি করে নিবন্ধিত সিম গ্রাহক অভিযোগ জানালে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে জালিয়াতি করে নিবন্ধিত সিম জব্দ এবং আটক করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বহুজাতিক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি অনুষ্ঠানে শেষে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিভিন্ন স্থানে জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধিত সিম জব্দ করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমরাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অভিযান চালাতে অনুরোধ করেছি। বলেছি, ম্যাসিভ অভিযান চালান, পুরো গ্রুপকে চালান দেন। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিম উদ্ধার এবং জড়িতদের আটক করছে। এর মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে"।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "এর ফলে মোবাইলভিত্তিক অপরাধ কমেছে। এ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেব না। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। রিটেইলার, অপারেটর যারাই দায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কার নামে কতটি সিম নিবন্ধিত হয়েছে সেটি জানা যাবে ৭ জুলাই। মোবাইল ফোন অপারেটররা এসএমএস করে গ্রাহককে জানিয়ে দেবে। তারপর কোন গ্রাহক তার জানা নিবন্ধিত সিমের বেশি হলে অপারেটরদের কাছে অভিযোগ জানাবে, অপারেটররা সেগুলো ডিঅ্যাক্টিভ করে দিবে"।
ইতোমধ্যে অনেক অপারেটর গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে তার নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানিয়ে দেওয়া শুরু করেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনিবন্ধিত কিছু সিম চালু থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, "সব অপারেটরকে তাদের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি প্রত্যেক অপারেটরকে তাদের রিটেইলারদের তালিকাও জমা দিতে হবে"।