তারানা ও জয় এর বৈঠক
প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:১৫
বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বৈঠকে মোবাইল ফোন অপারেটররা প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা বা যে কোনো তরঙ্গে যে কোনো প্রযুক্তি সেবার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারানা হালিম।
বুধবারের বৈঠকের বিষয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
সেবার মান আরও উন্নয়নে অপারেটররা সম্প্রতি দুটি সহযোগিতা চায় জানিয়ে তিনি বলেন, “একটি হল অবকাঠামোর অ্যাকটিভ শেয়ারিং, আরেকটি টেক নিউট্রালিটি। আমরা দুটি বিষয়েই ইতিবাচক- অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের ব্যাপারে বেস্ট প্রাকটিসগুলো আমরা দেখতে চাচ্ছি, আর বৈঠকে টেক নিউট্রালিটি দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কবে নাগাদ অপারেটররা প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেতে চলেছে সে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কিছু দিনের মধ্যেই এ সুযোগ দেওয়া হবে।”
এজন্য অতিরিক্ত কোন ফি বা চার্জ অপারেটরদের দিতে হবে কি না জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, “টেক নিউট্রালিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত যেটা আছে সে অনুসারে চার্জ বা আলাদা কিছু নেই, বাকিটা নির্ভর করে বিটিআরসির প্রোপোজালের উপর।”
এমএনপি সেবা খুব দ্রুত চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, এ বিষয়ে সংশোধিত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠাবে।
৯০০ ও এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজে অপারেটররা প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুযোগ পেতে যাচ্ছে বলে সভায় উপস্থিত টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান।
বিকালে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্পুফিং বন্ধে কাজ করা হচ্ছে। অপারেটররা নিজস্ব সংযোগে এটি সমাধান করতে পেরেছে। রোমিং কলে এখনো সমস্যা রয়েছে, এটি শিগগিরই ঠিক করা হবে।”
‘স্পুফিং’ বা ‘কল মাস্কিং’র সঙ্গে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের কোনো সম্পর্ক নেই, এটি কম্পিউটার জেনারেটেড উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, “এ ধরনের কোনো কল এলে বা হুমকি পেলে অবশ্যই সেই নম্বরে পুনরায় ফোন করে নিশ্চিত হতে হবে আসলেই সে কল করেছিল কি না।”